কিডনি পাচার চক্রের সূত্রপাত ঘটেছিল অশোকনগর এলাকায়। মোটা টাকা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে এই কাজ করা হতো। আর এই কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে জড়িয়ে ছিল এক রহস্যময়ী। তার সঙ্গে আবার যুক্ত ছিল দু’জন। সুতরাং মোট তিনজন মহিলা এই কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে পুলিশ তথ্য পেয়েছে। আর তার জেরেই এই তিনজন মহিলাকে দক্ষিণ কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই তিন মহিলা দক্ষিণ কলকাতার খ্যাতনামা বেসরকারি হাসপাতালে আয়ার কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল। এই ঘটনা সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের।
এদিকে অশোকনগর থেকে কিডনি পাচার কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার করা হয় সুদের কারবারি বিকাশ ঘোষ ওরফে শীতলকে। সেই সূত্র ধরেই কিডনি পাচারের লিঙ্কম্যান একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই লিঙ্কম্যানের নাম গৌর সর্দার। এবার লিঙ্কম্যান গৌর সর্দারকে জেরা করেই তিনজন আয়াকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সুদের ভারে জর্জরিত হয়ে যেসব মানুষজন ঋণের টাকা শোধ দিতে পারতেন না তাঁদেরকে কিডনি বিক্রির টোপ দেওয়া হতো বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বিকাশকে গ্রেফতার করে লিঙ্কম্যান গৌর সর্দারের সন্ধান পায় পুলিশ। তখন গৌর সর্দারকেও গ্রেফতার করা হয়। তদন্তের স্বার্থে প্রথমে পুলিশ গৌর সর্দারের নাম প্রকাশ্যে আনেনি।
আরও পড়ুন: যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পাণ্ডবেশ্বর, ইটের ঘায়ে জখম পুলিশ কর্তা
অন্যদিকে এই গৌর সর্দারকে জেরা করে পুলিশ এক ‘রহস্যময়ী’র খোঁজ পায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই রহস্যময়ী আসলে গৌর সর্দারের স্ত্রী। আর সে দক্ষিণ কলকাতার একটি খ্যাতনামা বেসরকারি হাসপাতালের আয়া হিসেবে কাজ করে। তবে মাঝরাতে দক্ষিণেশ্বর এলাকা থেকে পুলিশ ওই মহিলা এবং তার সঙ্গী আরও এক মহিলা এবং এই কারবারের ‘মাস্টারমাইন্ড’কে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা হল মৌসুমি সর্দার, পিয়ালি দে এবং গুরুপদ জানা ওরফে অমিত। ধৃত গৌর সর্দারের স্ত্রী মৌসুমী সর্দার। গুরুপদ জানা ওরফে অমিতকে বাদ দিয়ে ওই তিনজন ধৃত আয়া দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে আয়ার কাজ করত।