বিদেশের মাটিতে ওডিআইতে দুরন্ত পারফরমেন্স অব্যাহত পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও যে দল ছোট ছোট দলের বিরুদ্ধেও হেরে যায় অনেক সময়, সেই পাকিস্তানই কদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গিয়ে অজিদের ওডিআই সিরিজে হারিয়ে দিয়েছিল, নজরকাড়া বোলিং করেছিলেন হরিস রাউফ। এবার তাঁরা সিরিজ জিতলে প্রোটিয়াদের ডেরায়, তাঁদেরকেই হারালেন।
আরও পড়ুন-নতুন বছরে বাগান সমর্থকদের উপহার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার! হায়দরাবাদ FC ম্যাচের টিকিট ফ্রি
দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে জয়-
দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে দঃ আফ্রিকা দলকে ৮১ রানে হারিয়ে দিল পাকিস্তান। আর সেই সুবাদেই তাঁরা প্রোটিয়াদের ডেরায় এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ওডিআই সিরিজ জিতে নিল ২-০ ব্যবধানে। এর আগে প্রথম ওডিআই ম্যাচেও বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানদের দল রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর ৩ উইকেটে জিতেছিল। এই ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে নজর কাড়লেন পেসাররা।
আরও পড়ুন-বুমরাহকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য প্রাক্তন ইংরেজ তারকার? বাবা কলকাতার ছেলে ছিলেন!
কেপ টাউনে প্রথমে ব্যাট পাকিস্তানের
কেপ টাউনের মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে আসে পাকিস্তান, তাঁদেরকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। আর এসেই ওপেনার আবদুল্লা শাফিকের উইকেট হারায় তাঁরা। কিন্তু এরপরই মাঠে নেমে খেলা ধরেন প্রাক্তন অধিনায়ক বাবর আজম, তিনি ৯৫ বলে করেন ৭৩ রান। ২৫ রানে আয়ুব সাজঘরে ফিরতেই এবার নামে দলের অধিনায়ক তথা উইকেটরক্ষক ব্যাটার মহম্মদ রিজওয়ান।
কামরান গুলামের দুরন্ত ইনিংস-
৮২ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন মহম্মদ রিজওয়ানের। পাক অধিনায়ক এবং প্রাক্তন অধিনায়কের মধ্যে ১১৫ রানের পার্টনারশিপ হয়, আর তাতেই কার্যত পাকিস্তান দল বড় রানের লক্ষ্যে অনেকটা এগিয়ে যায়। এরপরই নামে নেমে কেরামতি দেখান টেস্টে বাবর আজমের পরিবর্তে ইংল্যান্ড সিরিজে সুযোগ পাওয়া কামরান গুমাল, তিনি করেন ৩২ বলে ৬৩ রান, পাকিস্তানের রান পৌঁছায় ৩২৯ রানে। অবশ্য তাঁরা অলআউট হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- ওয়ার্নারের স্লেজিংয়ে ভয় পাননি! উল্টে দ্বিগুন স্লেজিং করেন পূজারা! ফাঁস করলেন রহস্য…
৮১ রানে জয় পাকিস্তানের-
৩৩০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ব্যাটারদের থেকে যে ধৈর্য এব প্রত্যয়ী ভূমিকা আশা করেছিলেন প্রোটিয়া কোচ তা দিতে ব্যর্থ হন বাভুমারা। ওপেনার হিসেবে নেমে অধিনায়ক টেম্বা আউট হন ১২ রানে। টনি জর্জি করেন ৩৪ রান, দুসেন করেন ২৩, মার্করাম করেন ২১ রান। ৭৪ বে ৯৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে একাই লড়ে যান প্রোটিয়াদের মিডল অর্ডার ব্যাটার এনরিখ ক্লাসেন। মারেন ৮টা চার, চারটি ছয়। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। মিলার করেন ২৯। শেষ পর্যন্ত ২৪৮ রানে অলআউট হয়ে যায় দঃ আফ্রিকা দল।
ম্যাচের সেরা কামরান গুলাম-
বল হাতে পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি এবং নাসিম শাহ নজর কাড়েন। ৮ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নেন আফ্রিদি। নাসিম শাহ ৮ ওভারে দেন ৩৭ রান, নেন তিনটি উইকেট। আব্রার আহমেদ নেন ২ উইকেট। যদিও ৩২ বলে ৬৩ রানের দুরন্ত ইনিংসের সৌজন্যে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন পাক ব্যাটার কামরান গুলাম।