তার মাথার দাম ঘোষিত ছিল ২৫ হাজার টাকা। ২০০৮ সাল থেকে তাকে হন্যে হয়ে খুঁজেছে পুলিশ। সেই হিজবুল মুজাহিদ্দিনের সন্দেহভাজন জঙ্গি উলফত হোসেনকে সদ্য গ্রেফতার করেছে উত্তর প্রদেশের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড। শনিবার পুঞ্চ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। গত ১৭ বছর ধরে গা ঢাকা দিয়েছিল উলফত। জানা গিয়েছে, ‘প্রিভেনশন অফ টেররিজম অ্যাক্ট’ এর আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে উলফতকে।
২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে মোরাদাবাদের কাটঘর পুলিশ স্টেশনে ‘প্রিভেনশন অফ টেররিজম অ্যাক্ট’র আওতায় উলফতের বিরুদ্ধে ছিল অভিযোগ। উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদ পুলিশের কাছে উলফত বহুদিন ধরেই ছিল ‘ওয়ান্টেড’। পুলিশ জানিয়েছে,তারা গোপনসূত্রে জানতে পেরেছিল, জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে সে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র মারফৎ এই খবর তাদের কাছে এসেছে। এরপরই ৫২ বছরের উলফত হোসেনকে খুঁজতে পুলিশের যৌথ টিম ময়দানে নামে। তথ্য বলছে, উলফত জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। এর আগে, ২০০২ সালে সে উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদে গ্রেফতার হয়। সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছিল সেবার। বারেলি জেলে সে ৫ বছর বন্দি ছিল। পরে ২০০৮ সালে সে জামিনে মুক্তি পায়। তারপর থেকেই গা ঢাকা দেয় উলফত। এরপরই উলফতের নামে ওয়ারেন্ট বের হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৯১ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েই ধর্মীয় শিক্ষার পাঠ নিতে উলফত কাশ্মীর থেকে উত্তর প্রদেশের বারেলি আসে। পরে রামপুরে তারপর মোরাদাবাদে যায় উলফত। সেখানেই সে মৌলবী হিসাবে অবস্থান করছিল। এরপর ১৯৯৭ সালে সে নিজের এলাকা কাশ্মীরে চলে যায়। সেখানেই সেই ধর্মীয় শিক্ষকতাতে অংশ নেয়।
( Liluah Shootout Case: লিলুয়া শুটআউট কাণ্ডে পুলিশের জালে ১, বিহার থেকে গ্রেফতার ‘মচ্ছর’, কী জানা গেল?)
পুলিশের কাছে খবর রয়েছে, ১৯৯৯ সালে উলফতের বাবা কাশ্মীরে তাঁর গ্রামের সরপঞ্চ পদে আসেন। সেই গ্রামে অনায়াস যাতায়াত ছিল পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের। সেই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের প্রভাবের জেরেই উলফতের গতিবিধি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের দিকে ঝুঁকে যায় বলে সন্দেহ। সে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরেও যায় বলে খবর। সেখানেই তার সঙ্গে হিজবুল জঙ্গিদের সাক্ষাৎ হয়। উলফতের ট্রেনিংও রয়েছে বলে খবর রয়েছে পুলিশের কাছে।