উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে সম্প্রতি হুঁশিয়ারির সুরে মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। এই আবহে এবার ইউনুসকে পালটা তোপ দাগলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। শুধু তাই নয়, ইউনুসের সরকারকে কার্যত স্বীকৃতি দিতেও অস্বীকার করেন হিমন্ত। উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে ইউনুসের মন্তব্যের নিন্দা করেন হিমন্ত। পাশাপাশি তিনি আবেদন করেন, ইউনুসের এই উস্কানিমূলক মন্তব্য যেন হালকা ভাবে না নেওয়া হয়। (আরও পড়ুন: খলিস্তানি পান্নুনের হাত থেকে ডোভালকে 'বাঁচায়' মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা!)
আরও পড়ুন: সন্তান কার? সামনে চলে এল '১৪ বাচ্চার বাবা' ইলন মাস্কের 'কেচ্ছা'
রিপোর্ট অনুযায়ী, চিন সফরে উত্তরপূর্ব ভারতের ৭ রাজ্যকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ইউনুস। তিনি নাকি বলেছিলেন, 'উত্তর-পূর্বে ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের দেখভাল করি। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। এটি চিনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণ হতে পারে।' (আরও পড়ুন: 'ওপারে প্রভু চিন্ময়,এপারে প্রভু হিরন্ময়', দাসপুরে সন্ন্যাসীর ওপর হামলার অভিযোগ)
আরও পড়ুন: মহাকাশ থেকে ভারতকে কেমন দেখতে লাগে? মন ছুঁয়ে যাওয়া জবাব দিলেন সুনীতা উইলিয়ামস
আর এরই জবাবে হিমন্ত এখ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'বাংলাদেশের তথাকথিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মহম্মজ ইউনুস সম্প্রতি বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যকে স্থলবেষ্টিত বলে উল্লেখ করে এবং বাংলাদেশকে তাদের সমুদ্রে প্রবেশের অভিভাবক হিসাবে অবস্থান করে... তাঁর এই বিবৃতি আপত্তিকর এবং তীব্র নিন্দনীয়। এই মন্তব্যটি ভারতের কৌশলগত 'চিকেনস নেক' করিডোরের দুর্বলতার বিষয়টি বর্ণনা করে। ঐতিহাসিকভাবে ভারতের অন্দরেও চেষ্টা হয়েছে যাতে উত্তর-পূর্বকে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়।' (আরও পড়ুন: মায়ানমারে মৃত বেড়ে ২০৫৬, শুধু মসজিদে চাপা পড়েই প্রাণ গেল অন্তত ৭০০ মুসলিমের)
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার সেলিব্রেট করা হয় সীমান্তবর্তী কিছু জেলায়'
এই আবহে হিমন্তের দাবি, 'চিকেনস নেক করিডোরের নীচে এবং আশেপাশে আরও মজবুত রেল ও সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা অপরিহার্য। অতিরিক্তভাবে, চিকেনস নেককে কার্যকরভাবে বাইপাস করে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাথে মূল ভূখণ্ডের সংযোগকারী বিকল্প সড়ক পথের সন্ধান করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। যদিও এটি উল্লেখযোগ্য ইঞ্জিনিয়ারিং চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। তবে সংকল্প থাকলে উদ্ভাবনের সাথে এটা অর্জন করা সম্ভব। মহম্মদ ইউনুসের এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্যকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কারণ গভীর কৌশলগত দিকের দীর্ঘস্থায়ী এজেন্ডা প্রতিফলিত হয় এতে।'