বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করে অনেকেই বিগত বহু বছর ধরে ভারতে আসছে। কেউ বেশি আয়, ভালো জীবনের আশায়, কেউ আবার জঙ্গি কার্যকলাপের জন্যে। এর মধ্যে বহু বাংলাদেশি দিল্লিতে বসবাস করে। সেই বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে ২ দশক আগে দিল্লি পুলিশ 'বাংলাদেশ সেল' গঠন করেছিল। যে যে পুলিশ কর্মীরা বাংলা বলতে পারতেন, তাদেন নিয়ে গঠন করা হয়েছিল সেই সেল। বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে এই সব পুলিশকর্মীদের অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে খবর সংগ্রহ করতে হত। সেই 'বাংলাদেশ সেল' পুনরায় চালু করেছে দিল্লি পুলিশ। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ বেড়েছে। এদিকে বিগত অগস্ট থেকে বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির আবহে এই সেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: নিরাপত্তা কোথায়? চট্টগ্রামে হিন্দু যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেল মৌলবাদীরা)
আরও পড়ুন: টেসলার গাড়ি করে ট্রাম্প হোটেলে নাশকতার ছক? ভেগাসে বিস্ফোরণ নিয়ে বিস্ফোরক মাস্ক!
জানা গিয়েছে, দিল্লির এক একটি জেলায় ৫ থেকে ১০ জনের এই সেল গঠন করা হয়েছে। এক একটি দলে নেতৃত্বে আছেন এক ইন্সপেক্টর বা সাবইন্সপেক্টর। অসমের বাঙালি অফিসারদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে এর জন্যে। 'বাঙাল ভাষায়' কথা বলা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বাংলাদেশিদের ধরার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিশ। উল্লেখ্য, দিল্লিতে কয়েকদিন আগেই একাধিক অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছিল। ২০২৪ সালে নাকি প্রায় ৫০ জন বাংলাদেশিকে ডিপোর্ট করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে দিল্লি পুলিশ। আবার বাংলাদেশিদের এই দেশে অনুপ্রবেশে সাহায্য করা চক্রের ১১ জনও ধরা পড়েছিল দিল্লিতে। এই আবহে রাজধানী জুড়ে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের চিহ্নিত করার অভিযান এখনও জারি আছে। (আরও পড়ুন: 'হরে কৃষ্ণ' নাম করতে করতে বাংলাদেশের মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, আঘাত মহিলা পূজারিকে)
আরও পড়ুন: হাসিনাকে না পেলে ভারতের সাথে সম্পর্কে ছিন্ন? 'অন্য স্বার্থ' মনে পড়তেই ঢাকা বলল…
আরও পড়ুন: এটাই কি বৈষম্য বিরোধিতার নমুনা? BCS থেকে হিন্দুদের নাম বাদে প্রশ্ন বাংলাদেশে
এর আগে দিল্লির স্কুলগুলিতে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সন্তানদের চিহ্নিত করতে নির্দেশিকা জারি করেছিল দিল্লি পুর নিগম। এদিকে কোনও অনুপ্রবেশকারীকে যাতে জন্মের শংসাপত্র না দেওয়া হয়, তার জন্যেও নির্দেশিকা জারি করে দিল্লি পুর নিগম। প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ধরা পড়েছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি। এরই মাঝে আবার গত কয়েকদিনে শীত বেড়েছে। তারই সঙ্গে ভোরে কুয়াশাও বেড়েছে। যার ফলে অনুপ্রবেশকারীদের সুবিধা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সবের মাঝেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, বেআইনি ভাবে আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারেন ভারতে। অপরদিকে মায়ানমারে আরাকান আর্মি রাখাইন প্রদেশ দখল করে নিয়েছে। বাংলাদেশে তাই রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ বেড়েছে। এর চাপও পড়তে পারে ভারতে।