প্রায় ১,৫০০ কিলোমিটার উজিয়ে গিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ বছরের ওই যুবকের নাম কুলদীপ।
দিল্লি পুলিশের দাবি, কুলদীপের নামে একটি ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছিল তাদের কাছে। কিন্তু, গ্রেফতার হওয়ার আগেই ওই যুবক এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন। শেষমেশ গত ১৬ ডিসেম্বর দিল্লি পুলিশের কাছে খবর আসে, অভিযুক্ত যুবক গা ঢাকা দিয়েছেন গুজরাটের সুরাটে। সেখানকার জয় আম্বে নগরের যে স্থানে কুলদীপ লুকিয়ে ছিলেন, সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যও পুলিশের কাছে পৌঁছে যায়। এই তথ্য হাতে পেয়েই অভিযুক্তের সেই ডেরায় পৌঁছে যান দিল্লি পুলিশের প্রতিনিধিরা। কুলদীপকে সুরাটেই গ্রেফতার করেন তাঁরা। ফেরত নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে।
সূত্রের দাবি, যে তরুণী কুলদীপের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, তিনি তাঁর সঙ্গেই বাগওয়ান পুরা এলাকার একটি সংস্থায় কাজ করতেন। সহকর্মীকে খুব স্বাভাবিকভাবে বিশ্বাস করতেন ওই তরণী। অভিযোগ, সেই বিশ্বাসেরই অন্য়ায় সুযোগ নিয়েছেন কুলদীপ।
তরণীর দাবি, কুলদীপ প্রথমে তাঁকে লুকিয়ে নেশার দ্রব্য খাইয়ে দেন। তারপর ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন এবং সেই ঘটনার ভিডিয়ো করে ও ছবি তুলে রাখেন। এরপর সেই ভিডিয়ো ও ছবি দেখিয়ে শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং। কুলদীপ ওই তরুণীকে বলেন, তিনি যদি বারবার তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে রাজি না হন, তাহলে ওই ছবি ও ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়া হবে।
কিন্তু, ওই তরুণী কুলদীপের এই হুমকিতে ভয় না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। দিল্লির এসপি বদলি থানায় কুলদীপের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ভয় দেখানো-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করে তিনি।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে কুলদীপ আদতে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে ইদানীং দিল্লির বাওয়ানা অঞ্চলে থাকতেন। গত প্রায় ৫-৬ বছর ধরে তিনি দিল্লিতে থাকছেন। কুলদীপ কাজ করেন দিল্লিরই একটি কারখানায়।
তাঁকে গ্রেফতার করার পর পুলিশ সেই মোবাইল ফোনটিও বাজেয়াপ্ত করেছে, যেটি তিনি ব্যবহার করতেন ওই তরুণীকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য। পুলিশের দাবি, সেই মোবাইলে তরুণীকে ধর্ষণের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। রয়েছে সেই ঘটনার ভিডিয়ো ও ছবি। যেগুলি দেখিয়ে তিনি ওই তরুণীকে বলেছিলেন, তাঁকে আবারও কুলদীপের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।