'অপারেশন সিঁদুর'-র সঙ্গে বাঙালির 'সিঁদুর খেলার' আবেগকে জুড়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে ইসলামাবাদ হুংকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন যে তিনবার ঘরে ঢুকে মারা হয়েছে পাকিস্তানকে। আগামিদিনে ভারতে যদি ফের জঙ্গি হামলা চালানো হয়, তাহলে একইভাবে মারা হবে। কারণ ভারতের মানুষ শক্তির আরাধনা করেন। তাঁরা পুজো করেন মহিষাসুরমর্দিনীর। তাই জঙ্গি বা জঙ্গিদের মদত দেওয়া দেশকে কোনওভাবে রেয়াত করা হবে না বলে হুংকার দেন প্রধানমন্ত্রী।
আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডের সভা থেকে মোদী বলেন, ‘সিঁদুর খেলার এই মাটিতে (পশ্চিমবঙ্গ) এসেছি, তো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নয়া সংকল্প নিয়ে যে আলোচনা হবে, সেটাই স্বাভাবিক। ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যে বর্বরতার পরিচয় দিয়েছিল, সেটার পরে পশ্চিমবঙ্গেও প্রবল রাগ এবং ক্রোধ ছিল। আপনাদের মধ্যে যে আক্রোশ এবং ক্ষোভ ছিল, সেটা আমি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছিলাম।’
'আমাদের সেনা ওদের সিঁদুরের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছে', হুংকার মোদীর
মোদী জানান, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নিতেই অপারেশন সিঁদুর চালানো হয়। ধ্বংস করে দেওয়া হয় পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি শিবির। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘জঙ্গিরা আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের সেনা ওদের সিঁদুরের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছে।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা জঙ্গিদের সেইসব আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছিল, যা কল্পনাও করতে পারেনি পাকিস্তান।’
‘সরাসরি যুদ্ধ হলে পাকিস্তানের হার নিশ্চিত থাকে’, দাবি মোদীর
সেখানেই থামেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের একের পর এক নির্মমতা এবং বর্বরতার ছবি তুলে ধরেই ইসলামাবাদের মুখোশ খুলে দেন। তিনি বলেন, 'যখন সরাসরি যুদ্ধ হয়, তখন ওদের (পাকিস্তান) হার নিশ্চিত থাকে। ওদের পরাজয় নিশ্চিত থাকে। এই কারণেই পাকিস্তান জঙ্গিদের মদত দেয়। কিন্তু পহেলগাঁও হামলার পরে ভারত দুনিয়াকে এই বার্তা দিয়েছে যে এবার জঙ্গি হামলা হলে শত্রুদের বড় মূল্য চোকাতে হবে।'
‘মহিষাসুরমর্দিনীর আরাধানা করি আমরা’, হুংকার মোদীর
সেইসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান বুঝে নিক, তিনবার ঘরে ঢুকে তোমাদের মেরেছি। আমরা শক্তির আরাধনা করা লোক। মহিষাসুরমর্দিনীর আরাধানা করি। বাংলার এই বাঘের মাটি থেকে ১৪০ কোটি মানুষ হুংকার দিচ্ছেন, অপারেন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি।’