জঙ্গি দমনে একের পর এক সাফল্য পেয়েছে ভারত। কাশ্মীরকে জঙ্গিমুক্ত করার ডাক দেওয়া হচ্ছে। তবে এবার তার সঙ্গেই নকশাল মুক্তির ডাককে ফের জোরালো করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানিয়ে দিলেন কবে নকশাল মুক্ত হবে দেশ।
বুধবার এক্স হ্যান্ডলে তিনি একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, 'ওই পাহাড় যেখানে একটা সময় লাল সন্ত্রাস রাজ চলত সেখানে এখন গর্বের সঙ্গে উড়ছে তেরঙা। সেই সঙ্গে তিনি একেবারে সময় বেঁধে দিয়েছেন। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্য়ে নকশাল-মুক্ত করা হবে ভারত।
অমিত শাহ লিখেছেন, 'নকশাল মুক্ত ভারত গড়ার সংকল্পে একটা বড় মোড়। কুরাগুট্টালু পাহাড়ে ছত্তিশগড়-তেলাঙ্গানা সীমানায় সুরক্ষা বাহিনী ৩১জন কুখ্য়াত নকশালকে নিকেশ করেছে। নকশাল দমনে সবথেকে বড় অভিযান।
যেখানে একটা সময় লাল সন্ত্রাস রাজ করত সেখানে আজ গর্বের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উড়ছে। কুরাগুট্টালু পাহাড় একটা সময় ছিল পিএনজিএ ব্যাটেলিয়ন ১, ডিকেএসজেডসি, টিএসসি, সিআরসি সহ একাধিক বড় নকশাল সংগঠনের হেডকোয়ার্টার। সেখানে নকশালদের প্রশিক্ষণ হত। কর্মপন্থা ঠিক হত। অস্ত্র সরবরাহ করা হত।
২১ দিনে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এই বড় নকশালবিরোধী অভিযান চালিয়েছে। আমি অত্যন্ত খুশি যে এই অপারেশনে একজনও আমাদের সুরক্ষা বাহিনীর কেউ নিহত হননি। সিআরপিএফ,এসটিএফ, ডিআরজি সেনাদের অভিনন্দন। যারা সাহসিকতার সঙ্গে মাওবাদীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। খারাপ আবহাওয়া, পাহাড়ি এলাকা সত্ত্বেও। আমাদের দেশ আপনাদের( বাহিনী) নিয়ে গর্ব করে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আমরা নকশালবাদকে উপড়ে ফেলতে চাই। আমি আরও একবার দেশবাসীকে জানাতে চাই, নিশ্চিত করতে চাই ৩১শে মার্চ ২০২৬ এর মধ্য়ে দেশ নকশাল মুক্ত হয়ে যাবে।'
কার্যত বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সূত্রের খবর ওই নকশাল দমনে প্রচুর অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, প্রচুর গোলাবারুদ, ডিটোনেটর, বিস্ফোরক ডিভাইস. ১২,০০০ কেজি সামগ্রী, যেমন ওষুধ, ইলেকট্রিকের সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, পাহাড়ে চারটি কারখানার হদিশ মিলেছে। সেখানে অস্ত্র তৈরি হত।
প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সিআরপিএফের চিফ জেনারেল জিপি সিং জানিয়েছেন, ৩১জনকে নিকেশ করা হয়েছে। তাদের মৃত্যু ও কারেগুট্টা পাহাড়কে ফের দখলে আনা এটা শেষের শুরু। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ২৮টি দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।